• lokayotobidyaloy@gmail.com
site-new-logo200x80site-new-logo200x80site-new-logo200x80site-new-logo200x80
  • লোকায়ত সম্পর্কে।।About Lokayoto
    • বাংলা
    • English
  • নিবন্ধ।।Article
  • পডকাস্ট।।Podcast
  • রিডিং লিস্ট।।Reading list
  • আড্ডা।।Adda
  • যুক্ততা।।Join Lokayoto
  • বিশেষ উদ্যোগ।।Special initiatives
    • ধর্ম-সেক্যুলারিজম বোঝাপড়া ( অনুবাদ ও সংকলন)
  • অধ্যয়ন ও গবেষণা নির্দেশনা কার্যক্রম
  • রেডিও হাস্তর।।Radio haastor
✕
দ্বীন-ধর্ম-উপাসনা।। পরিচয় ও পর্যালোচনামূলক পাঠের পঞ্জিকা।।অরূপ রাহী  
July 4, 2021
হিজাব সম্পর্কে ফতোয়া ।। শায়খ ডঃ খালেদ আবু এল ফাদল
April 15, 2022

ফিরে দেখা দেশভাগ।।আহমেদ কামালের সাক্ষাৎকার

July 17, 2021
ক্যাটাগরি
  • নিবন্ধ
ট্যাগস
  • Globlalization
  • আত্মপরিচয়ের রাজনীতি
  • আহমেদ কামাল
  • ইতিহাস চর্চা
  • দেশভাগ
  • মধ্যবিত্ত
  • সাঁওতাল
  • সাম্প্রদায়িকতা
  • সেক্যুলার

[রেডিও কোয়ারেন্টাইন কলকাতা-এর পক্ষে তামান্না মাকসুদ পর্ণা ফোনালাপের মাধ্যমে আহমেদ কামালের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিলেন। সে সাক্ষাৎকারের বিষয় ছিল দেশভাগ প্রসঙ্গ ও এর সাথে আত্নপরিচয়ের রাজনীতি। এটি সেই আলাপের শ্রুতিলিখন। 

আহমেদ কামাল একজন ইতিহাসবিদ। তিনি লোকায়ত বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা প্রধান। বর্তমানে তিনি সেন্ট্রাল উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত আছেন। তাঁর লেখাপত্রের মধ্যে ‘কালের কল্লোল’ ও ‘স্টেট অ্যাগেইনস্ট দ্যা নেশন ’ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। তার সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ ‘খাতির আলীর লাল সুর্য’। 

সাক্ষাৎকারটি ১৫ আগস্ট ২০২০- এ রেডিও কোয়ারান্টাইন কলকাতায় সম্প্রচারিত হয়। সাক্ষাৎকারটির শ্রুতিলিখন করেছেন ফাহিম আলম। লেখাটি সম্পাদনা করেছেন মোহাইমিন লায়েছ। ]

 

 

তামান্না মাকসুদ পর্ণা: দেশভাগের তিয়াত্তর বছর পর আপনি কিভাবে ফিরে দেখেন দেশভাগকে?                           

আহমেদ কামাল: আলোচনার বিষয়টা পরিষ্কার না হলে আলোচনাটা খুব বেশিদূর এগোয় না। এখন আমরা কী ফিরে দেখতে চাচ্ছি? কার জন্যে ফিরে দেখতে চাচ্ছি? ফিরে দেখার ক্ষেত্রে ইতিহাসটা সবসময়ই পেছনে ফেরে বর্তমানের সংকট থেকে উত্তরণের জন্য। অর্থাৎ, অতীতে এমন কোনো অভিজ্ঞতা আমাদের আছে কী না, যে অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগিয়ে বর্তমানের যে সংকট, সেই সংকট থেকে আমরা বের হতে পারি কী না, আমাদের কোনো সাহায্য হয় কী না। সেদিক থেকে দেখলে ফিরে দেখাটা নিয়ে সব সময় আলোচনাটা হয় যে- দেশভাগ সবার জন্যে দুঃখের একটা কাহিনী, একটা বিসর্জনের কাহিনী। সে কাহিনীটা বড় হয়ে সামনে আসে এবং দেশভাগের পেছনের কারণগুলি হয়ে আসে সাম্প্রদায়িকতা। সে সময় যারা পাকিস্তানের সমর্থন করেছিল তারা বলবে হিন্দুরা সাম্প্রদায়িক ছিল, আর যারা অখণ্ড ভারতের সমর্থক ছিল তারা বলবে মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক ছিলো। এভাবেই আলোচনাটা হয়ে ওঠে। কিন্তু আমার একটা জিনিস মনে হয় যেটা পরিষ্কার করে দেখা হয়না সেটা হচ্ছে যে… আমি এখানে শচীন দেববর্মণের একটি গানের লাইন নিয়ে বলতে চাই:

                         
                                        “বিসর্জনের ব্যথা ভুলি আগমনীর খুশিতে“

অর্থাৎ, একই সাথে বিসর্জন এবং একই সাথে আগমন দুটো ব্যাপারই ঘটছে। দেশভাগ হচ্ছে অনেকের দুঃখ- কষ্ট, বিসর্জনের বেদনা। এর ফলে আবার স্বাধীনতা পাওয়া যাচ্ছে, নিজেদের জন্যে একটা দেশ পাওয়া যাচ্ছে, যে দেশে তারা নিজেদের মতো নিজেদের গড়তে পারবে এবং গড়ার সুযোগ পাবে এই ধারণা থেকে তাদের আনন্দও হচ্ছে। 

আমরা তো দেশভাগ করেছিলাম সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে। এখন আমরা এর থেকে শিখবোটা কী? দেশভাগ হলো সেটা আমরা বলে যাচ্ছি কিন্তু তার থেকে আমাদের শিক্ষাটা কী? ভারত তিয়াত্তর বছর ধরে “সেক্যুলার” রাষ্ট্র, একটা “গণতান্ত্রিক” রাষ্ট্র হিসেবে চলে আসছে। কিন্তু আজ সেখানে সাম্প্রদায়িকতা, “ধর্মান্ধতা”, “ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি” চলছে এবং এটি একটি হিন্দু রাষ্ট্রের দিকে আগাচ্ছে। তার প্রতিক্রিয়ায় আজ বাংলাদেশেও ধর্মীয় রাজনীতির প্রাধান্য বাড়ছে এবং সেটা বাড়বে। এটাও তখন আত্মরক্ষার জন্যে এই ধর্মের খোলসে ঢুকে পড়বে। তাহলে দেশভাগ থেকে আমরা কী শিক্ষা পেলাম?

এখন আমাদের শিক্ষাটা… যদি ফিরে দেখা মানে এই হয় যে আমরা কিছু শিখবো, সে জায়গাটা যদি আমরা না ধরতে পারি তাহলে এই আলোচনা করে তো লাভ নাই।

এই ফিরে দেখাটা কার জন্য? কে দেখছে ? আমরা দেখছি মধ্যবিত্ত যারা, যারা ইতিহাস চর্চা করি, যারা লেখালেখি করি, যারা পড়াই, তারা দেখছি। কার জন্য দেখছি? মধ্যবিত্তের জন্যেই দেখছি আসলে। কিন্তু যে বিপুল সাধারণ মানুষ এই দেশভাগের মধ্যে এফেক্টেড হলো তাদের অভিজ্ঞতাটা কারা দেখতে পাচ্ছে, কী দেখতে পাচ্ছে? আর কারা কী দেখতে পাচ্ছে না? সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করি না।

  
এখন, পূর্ব বাংলা পাকিস্তান হয়ে গেলো এবং সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে পাকিস্তান হলো। প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই অঞ্চল থেকে পশ্চিম বাংলায় চলে গেলো। তাদের সম্পত্তি, তাদের জীবন, নারীদের মান-সম্মান ইত্যাদি সংকটাপন্ন হয়ে উঠল; কিন্তু অন্যদিকে একটা বিপুল সংখক জনগণ আনন্দিত হলো এই ভেবে যে আমরা স্বাধীন হয়েছি, আমরা আমাদের মতো করে দেশ গড়বো, পাকিস্তান গড়বো। এই পাকিস্তান গড়ার স্বপ্নের মধ্যে কিন্তু অনেক স্বপ্ন লুকিয়ে ছিল। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ খুব সুন্দর করে পাকিস্তানের কোনো ব্যাখ্যা দেন নাই। তিনি পাকিস্তান হলে কী হবে- এইটা কখনোই বলেন নাই। ফলে মানুষ তার তার মতো করে পাকিস্তান তৈরী করে নিয়েছে। কৃষক তার মতো করে পাকিস্তান তৈরী করে নিয়েছে, কারণ সে বুঝেছে সে জমি পাবে, জমিদারি থাকবে না, তার ঋণ মওকুফ হবে। শ্রমিক ভেবেছে তার মজুরি পাবে, আরো শিল্প হবে সেখানে চাকরি হবে। মধ্যবিত্ত ভেবেছে চাকরি পাওয়া যাবে, যে চাকরি আগে পাওয়া যেত না, শিক্ষিত হিন্দুরা যে চাকরিগুলো দখল করেছিল অথবা স্বাভাবিকভাবেই পেত, মুসলমানরা এখন সে চাকরি পেতে পারবে। তারা আরো লেখাপড়া করতে পারবে, লেখাপড়া করে সামাজিক ভাবে আরো উপরে উঠতে পারবে। তারা সরকারি চাকরি পাবে, পুলিশ হবে, আমলা হবে, দারোগা হবে; এই স্বপ্নগুলো তাদের মধ্যে বিরাজমান ছিল।

People leaving their home due to desh vag

কিন্তু এই স্বপ্নগুলো কার পূরণ হলো আর কার পূরণ হলো না সে হিসেবে কিন্তু আমরা নিচ্ছি না।
আমাদের এখন দেখার সময় আসছে এই তিয়াত্তর বছরে যে কার কার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল আর কার কার স্বপ্ন পূরণ হয় নাই। এখানে স্বপ্ন অনেকখানি পূরণ হয়েছে মধ্যবিত্তের। মধ্যবিত্তরা দ্রুত উপরে উঠতে পেরেছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি সেটা একটা সহায়ক প্রতিষ্ঠান ছিল। আর চাকরি করা পেশাজীবী হিন্দুরা ব্যাপক হারে ভারত চলে গিয়েছিলো, সেসব খালি চাকরিতে সহজেই তারা ঢুকতে পারছিলো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই। আর ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য পেশা যেমন ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিং, যে যখন যেভাবে যে পেশায় শিক্ষিত হতে পারছে সে সেই পেশায় শিক্ষিত হতে পারছে অনায়েসে, সে পেশায় বিনা আয়েশে ঢুকে পড়তে পারছে।

মধ্যবিত্ত তৈরী হওয়ার আরেকটা কারণ ছিল যেটা আলোচিত কম হয় যে, পঞ্চাশ দশকের ভূমি সংস্কার এবং তার আগে হিন্দু জমিদাররা ও সম্পত্তির মালিকদের ভারত চলে যাওয়াটা। ফলে এগুলি যাদের দখলে ছিল, আর এগুলি যারা ব্যবহার করতো তাদের দখলে চলে আসলো এবং ভূমি সংস্কারের ফলে সে দখলটাকে আইন সম্মত করা হলো। ফলে দ্রুত তাদের যে পুঁজি যেটা তারা কৃষিতে এবং তারা ছেলেপেলে সন্তানদের শিক্ষায় খরচ করতে পারতো- সেই খরচ করাটা শুরু হয়ে গেলো। ফলে মধ্যবিত্ত তৈরী হওয়ার গতিটা খুব দ্রুত হলো এবং এই মধ্যবিত্ত বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও চুয়ান্নের নির্বাচনে এসে রাজনৈতিকভাবে অনেকখানি সচেতন হয়ে গেলো, আর সে সচেতনতাকে প্রশ্রয় এবং সে সচেতনাকে গতিশীল করার জন্যে তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ তৈরি হলো, পাশে এসে থাকলো এবং সে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বেই একাত্তরে আমরা বাংলাদেশ পেলাম। 

বাংলা ভাগ না হলে আমরা পাকিস্তান পেতাম না বলে আমি মনে করি এবং এই ব্যাপারটি আমি বিশেষ ভাবে মনে করি। কারণ সেটাতেই বাংলাদেশ হওয়ার পথটা খুব সহজ হয়ে গিয়েছিলো। যদিও স্বাধীনতা পাওয়াটা সহজ হয় নাই, মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের, তারপরেও এটা পাওয়া সম্ভব হয়েছিল। এই জায়গাটাও দেশভাগের একটা বড় ফসল বলে আমি মনে করি এবং যে ফসলের সুফলভোগী ‘আমরা’। এই “আমরা” টা কিন্তু আবারো সেই মধ্যবিত্ত। মধ্যবিত্ত বিরাট শ্রেণীতে পরিণত হয়েছে, সংখ্যা অনেক বেড়েছে। ব্যবসা বাণিজ্য সকল সুবিধা তারা নিরাপদে পাচ্ছে, নির্বিঘ্নে পাচ্ছে কিন্তু সাধারণ মানুষগুলো এখনো ওই জায়গায় আসতে পারে নাই। তাদের কথা আমরা বলছি না। তাদের কথা বলছি না এই জন্যই যে তাদের খবর আমরা নেই না এবং তাদের কথা আমরা শুনতেও চাই না। আমাদের কথার শ্রোতা তারা শুধু ইলেকশনের সময় আর ভোটের সময়, আর কোনো সময় তাদের কাছে যেয়ে আমরা কথা বলি না। এই অবস্থাটা কিন্তু পাল্টায় নাই। মধ্যবিত্তের সুযোগ সুবিধা অনেক বেড়েছে কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবনের সুযোগ সুবিধা অতটা বাড়েনি। 

 

ফলে, ফিরে দেখে আমরা কী শিখছি?

 

আসলে আমরা যে মানুষগুলোকে সেদিন আশান্বিত করেছিলাম, যাদেরকে আমরা সেদিন পাকিস্তানের স্বপ্নে বিভোর করেছিলাম, স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর করেছিলাম তারা কিন্তু সেই স্বপ্নেই ছিল। এমনকি বাংলাদেশ হওয়ার পরও সেই সোনার বাংলা কিন্তু হয়ে উঠে নি। আমি আরেকটা জায়গায় বলেছিলাম যে সাঁওতাল পাড়ায় আমি একটা গান শুনেছিলাম –
         
                            “রাস্তা হইলো ঘাট হইলো,বাংলা হইলো না”
অর্থাৎ, যে বাংলার স্বপ্ন তারা দেখেছিলো, সে বাংলা তারা পাই নাই। এই গানের মূল কথা এই গানের বেদনা, দুঃখ এটা শোনার মতোন কান এখন পর্যন্ত মধ্যবিত্তের তৈরী হয় নাই। ফলে এই জায়গাটায় ফিরে দেখে যদি আমরা এই জায়গাটায় দৃষ্টিপাত করি, এই জায়গাটায় নজর দেই, এই জায়গাটা থেকে যদি আমি শিক্ষা লাভ করি তাহলে ফিরে দেখার মানে হয়, অন্যথায় ফিরে দেখার কোনো অর্থ নাই। এই গল্পই চলছে তিয়াত্তর বছর যাবৎ, এই একই গল্পে আবার চলতে থাকবো আমরা।


তামান্না মাকসুদ পর্ণা: কামাল ভাই এই গল্পে চলতে থাকবো। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সাম্প্রদায়িকতার কথাগুলো যে আমরা বলি, পৃথিবীটা এখন তার তুঙ্গে, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ এখন তার তুঙ্গে- সে দেশে এখন ধর্মকে কেন্দ্র করে অন্য ধর্মের মানুষদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা কাশ্মীরের সমস্যা দেখতে পাচ্ছি  এবং আপনি যেটা বললেন আমাদের এখানেও ঠিক একই কাজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, সারা পৃথিবী জুড়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি। তো ফিরে দেখে শিখবার এইযে চেষ্টা… এবং এখনো মানুষ কেন সে শিক্ষাটা নিতে পারছে না? আপনি বলছেন যে প্রতিটা গল্পেই মধ্যবিত্তই যদি প্রধান চরিত্র হয়ে থাকে, তাহলে মধ্যবিত্ত কেন সেই একই গল্পটা পুনরাবৃত্তি করতে দিচ্ছে বা কেন আমাদের আসলে শেখাটা হচ্ছে না, কোথায় আসলে ফাঁকটা থেকে গেছে যে এতো বছর পরেও আমরা সেই ভুলগুলোই হতে দিচ্ছি আমাদের চোখের সামনে?

আহমেদ কামাল: যে কৃষক শ্রেণী থেকে আমাদের বিকাশ সেই কৃষক সমাজ থেকে চলে আসার ফলে আমাদের মধ্যে যে বিচ্ছিন্নতা তৈরী হয়েছে- এই সংযোগটা যদি আমরা জীবন্ত রাখতে পারতাম, তাহলে এই জায়গাটায় আমরা নজর দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা যখনই মধ্যবিত্ত হয়ে  শহরের বাসিন্দা হয়ে গেছি এবং এখন তো ‘Globlalization’-এর সময়ে আমাদের চোখ তো আরো দূরে, ফলে নিচের দিকে তাকানোর সময় আমাদের নাই। আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, যে জাতি উপরের দিকে তাকায়ে হাঁটে সে হোঁচট খাবেই। এই উপরের দিকে তাকিয়ে হাঁটা শুরু হয়েছে অনেক দিন ধরে এবং এই উপরের দিকে তাকিয়ে হাঁটার কারণে আমাদের একদিন হোঁচট খেতেই হবে। আজকে এই সাধারণ মানুষের দিকে যদি আমরা না তাকাই, তাদের কথা না ভাবি, তাদের স্বপ্ন কে না লালন করি, তাদের স্বপ্নকে যদি রূপ দেয়ার চেষ্টা না করি, তাহলে আমাদেরকে একসময় হোঁচট খেতেই হবে। 

আজকে সারা বিশ্বে আত্মপরিচয়ের রাজনীতি প্রকট হয়ে উঠছে। [অনেকের কাছে বিষয়টা এমন যে] এই বিশ্বায়নের যুগে নিজের আত্মরক্ষা, নিজের সংস্কৃতি রক্ষা, নিজের অর্থনীতি রক্ষা, নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষার একমাত্র অস্ত্র হচ্ছে আত্মপরিচয়ের রাজনীতিকে আরো সুদৃঢ় করা। আমরা সেদিকে যাচ্ছি এবং আমাদের আত্মপরিচয়ের রাজনীতির মানে হচ্ছে আমাদের মুসলমান আইডেন্টিটিকে প্রকট করে তোলা। যদি বাইরে থেকে ঐ একই আত্মপরিচয়ের রাজনীতি প্রকট হয়, তার চাপে আর নিজেদের আত্মরক্ষার চাপে সেটা হতে বাধ্য হবে।

তামান্না মাকসুদ পর্ণা:  প্রফেসর আহমেদ কামাল আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকবার জন্যে। মানুষ এখন সত্যিকারের ইতিহাসগুলো খুঁজে দেখা শুরু করুক, মানুষ প্রশ্ন করুক এবং আমরা আপনাদের কাছ থেকে আমরা উত্তরগুলো শুনি, সেটাই চাওয়া থাকবে সময়ের কাছে। তো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে থাকবার জন্যে। ভালো থাকবেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

December 17, 2020

জনপরিসরে* সামাজিক শিষ্টাচার প্রস্তাবনা।। [ ১ম সংস্করণ] 


বিস্তারিত
October 29, 2020

জনপরিসরে সামাজিক শিষ্টাচার প্রস্তাবনা*


বিস্তারিত
June 11, 2020

বাংলাদেশঃ উদারনীতিবাদী গণতন্ত্রের ফাঁদ এবং বিউপনিবেশিক বিকল্প ।। অরূপ রাহী


বিস্তারিত
November 20, 2019

Mao-Lana Bhashani Of Assam/Bengal/Pakistan/Bangladesh।। Layli Uddin


বিস্তারিত
✕

লোকায়ত বিদ্যালয় বিউপনিবেশিক সাম্য ও ন্যায়ের দেশ-দুনিয়া হাজির করার চিন্তা চর্চার পরিসর।

সামাজিক মাধ্যম


নিয়মিত আপডেট পেতে ফেসবুক পেজে লাইক দিন

Facebook Pagelike Widget

নিয়মিত আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

বিশেষ উদ্যোগ

  • Binary
  • Buddhism
  • decolonization
  • feminism
  • gender
  • Globlalization
  • Hinduism
  • India
  • Islam
  • masculinity
  • metoo
  • modernity
  • Race
  • religion
  • secularism
  • অরূপ রাহী
  • আত্মপরিচয়ের রাজনীতি
  • আধুনিকতা
  • আবুল কালাম আজাদ
  • আহমেদ কামাল
  • ইতিহাস চর্চা
  • ইসলাম
  • উপনিবেশ বিরোধী লড়াই
  • উপনিবেশবাদ
  • ঔপনিবেশিকতা
  • কুইয়ার
  • কৃষক
  • কোরানশাস্ত্র
  • খিমার
  • খ্রিষ্টবাদ
  • গণতন্ত্র
  • জনপরিসর
  • জলবায়ু পরিবর্তন
  • জিলবাব
  • জেন্ডার
  • ঢাকা
  • তালাল আসাদ
  • দেশভাগ
  • দ্বীন
  • ধর্ম
  • নগরায়ন
  • নয়াগণতান্ত্রিক বিপ্লব
  • নারীবাদ
  • পর্দা
  • পুঁজিবাদ

নিয়মিত আপডেট পেতে এখুনি সাবস্ক্রাইব করুন

লোকায়ত বিদ্যালয়।।CC-BY-NC।। সাইট নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও গ্রাফিক ডিজাইন- জাকারিয়া হোসাইন